গত কয়েক আসর ধরেই সিইএস অটো শো হয়ে যাচ্ছে। বিএমডাব্লিউ এবং জেনারেল মোটরসের মতো গাড়ি তৈরীর প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের কনসেপ্ট কারগুলো প্রদর্শন করছে। তারা তাদের নতুন প্রযুক্তি ও কনসেপ্টগুলো এমনভাবে প্রদর্শন ও উপস্থাপন করছে, তাতে তারা তাদের অডিয়েন্সকে এটা বোঝাতে চাইছে যে তারা শুধু গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান নয়, তারা প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানও। দুই সাউথ কোরিয়ান রাইভালস স্যামসাং ও এলজি পার্সোনালাইজড কার তৈরীতে তাদের অংয়শগ্রহণ বাড়াচ্ছে।
স্যামসাংয়ের স্মার্ট কার প্ল্যাটফর্মের নাম হবে আইসিএক্স। এটি ড্রাইভারের মানসিক অবস্থা ইভালুয়েট করবে এবং ড্রাইভারের দিকে চালু থাকা ইনফ্রারেড ক্যামেরাগুলো প্রতিমুহূর্তে তাদের মানসিক অবস্থা বিষ্লেষণ করবে। স্যামসাংয়ের ইকোসিস্টেমে থাকা প্রোডাক্টগুলোতে- যেমন গ্যালাক্সি ওয়াচে প্রাথমিকভাবেেএটা কাজ করবে। তবে পরবর্তীতে অন্যান্য প্ল্যাটফর্মেও এটি সাপোর্ট করবে। এলজির প্রযুক্তির সাহায্যে গাড়িতে বসেই বাসার খোঁজ খবর নেওয়া যাবে এবং চলার পথে গাড়ির কোনো রিপেয়ারের দরকার হলে পরবর্তী মেকানিক শপের সঙ্গে যোগাযোগ করে স্লট বুকিং করে রাখতে পারবে।
তবে এই সেক্টরে আরও উচ্চাভিলাসী প্রকল্প সনির। কোম্পানিটি হোন্ডার সাথে পার্টনারশিপে আফিলা নামে ইলেকট্রিক গাড়ি তৈরী করবে। এই উদ্যোগের মাধ্যমে মোটরযান নির্মাণে হোন্ডার বহু বছরের অভিজ্ঞতা, পরিবহন-প্রযুক্তি ও বিক্রয় কৌশলের সঙ্গে সনির ইমেজিং, নেটওয়ার্ক, সেন্সর ও বিনোদন খাতের পারদর্শিতার সমন্বয় ঘটানো হবে। ২০২৫ সালের প্রথমার্ধেই এই গাড়ির প্রি-অর্ডার নেওয়া শুরু হবে এবং ২০২৬ সালের বসন্তে উত্তর আমেরিকার ভোক্তাদের কাছে গাড়িটি ডেলিভারি দেওয়া হবে।
তবে এবারের সিইএসে অটোমোবাইল কাতে সবচেয়ে বেশি নজর কেড়েছে বিএমডাব্লিউর একটি কনসেপ্ট কার। এটি হতে যাচ্ছে বিশ্বের প্রথম রিয়েল টাইম কালার চেঞ্জিং কার। বিএমডাব্লিউ এর নাম রাখছে iX Flow. গাড়িটি ব্যবহারকারীর মুডের উপর ভিত্তি করে উইন্ডশিল্ডের রং পরিবর্তন করবে। গাড়িটিতে ব্যবহার করা হয়েছে ই-ইংক নামের একটি প্রযুক্তি। আমরা অ্যামাজনের কিন্ডলে প্রায় অনুরূপ প্রযুক্তির ব্যবহার দেখেছি। বিএমডাব্লিউর এই গাড়টিতে ৩২ টি রং সিলেক্ট কার যাবে। আপনি লিটারেলি মোবাইল অ্যাপ থেকে যে রং সিলেক্ট করে দিবেন, সঙ্গে সঙ্গে গাড়িটি সেই রঙে পরিবর্তিত হয়ে যাবে। কারও যদি একটা রং ভালো না লাগে তিনি মাল্টিপল কালারও সিলেক্ট করতে পারবেন।