চ্যাটজিপিটির ওপর ভরসা করে বিপদে আইনজীবী

স্টিভেন এ শোয়ার্টজ আইনজীবী হিসেবে কাজ করেন তিন দশক ধরে। তাঁর পুরো ক্যারিয়ারে এ রকম বিপদে তিনি দ্বিতীয়বার পড়েননি। বিপদে পড়েছেন চ্যাটজিপিটির ওপর ভরসা করে। মামলার নাম মাটা বনাম এভিয়ানকা।

কলম্বিয়ার সবচেয়ে বড় এয়ারলাইনস ‘এভিয়ানকা’র যাত্রী রবার্তো মাটা অভিযোগ করেন, ফ্লাইটে তাঁর হাঁটুতে একটি ট্রলি এসে লাগে। এতে তিনি আঘাত পান। এই ঘটনায় মামলা হয়। মামলা খারিজের জন্য আইনজীবী নিয়োগ দেয় এভিয়ানকা।

এর বিপরীতে মাটার নিয়োগ করা আইনজীবীও একই ধরনের ছয়টি মামলায় আদালতের দেওয়া রায় পেশ করেন। এই ছয়টি কেসের কোনো অস্তিত্বই কখনো ছিল না। চ্যাটজিপিটির বানানো এসব মামলার হদিস খুঁজে পেতে ব্যর্থ হন এভিয়ানকার আইনজীবীরা। এর সূত্র ধরেই বের হয়ে আসে শোয়ার্টজের আসল কাহিনি।

তিনি যে চ্যাটজিপিটির সহায়তা নিয়েছিলেন সেটা আদালতে হলফনামা জমা দিয়ে স্বীকার করেন। শোয়ার্টজের ভাষ্য, তিনি আসলে জানতেনই না চ্যাটজিপিটির লেখা তথ্য কনটেন্ট ভুল হতে পারে। একবার শুধু চ্যাটজিপিটিকে জিজ্ঞেস করেছিলেন এসব মামলা আসলেই দায়ের করা হয়েছিল কি না। চ্যাটজিপিটি তাঁকে আশ্বস্ত করে জানায়, এই মামলার তথ্যগুলো নামিদামি বৈধ ডাটাবেইস থেকে নেওয়া। এ কথায় নিশ্চিন্ত হন শোয়ার্টজ।

আদালত আইনজীবী শোয়ার্টজকে কী সাজা দেবেন সে বিষয়ে আদালত রায় দেবেন আগামী মাসে।

সূত্র : ম্যাশেবল

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *